কাজের উপর রচনা ইজ পূজা বাংলায় | Essay On Work Is Worship In Bengali - 3000 শব্দসমূহে
আজকের নিবন্ধে, আমরা কর্ম ইজ পূজা (বাংলায় কাজ ইজ ওয়ার্শিপ) নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখব । কর্ম হল উপাসনা কিন্তু এই রচনাটি শিশুদের জন্য লেখা এবং ক্লাস 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজ ছাত্রদের জন্য। কর্ম হল উপাসনা, তবে লেখা এই প্রবন্ধটি (Essay On Work Is Worship in Bengali) আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।
কর্মের উপর প্রবন্ধ ইজ ওয়ারশিপ (Work is Worship Essay in Bengali) ভূমিকা
আমরা দেখি, অনেকেরই কিছু কাজ করতে লজ্জা হয়। কিছু লোক কাজ করার আগেও ভয় পায় এবং আমরা কখনই ভাবি না যে কোনও কাজ না করে আমরা কোনও ফল পেতে পারি। কেউ কেউ কোনো কাজ শুরু করার আগেই তার ফল নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে থাকে। আমাদের যে কোনো কাজ ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়ে শুরু করা উচিত এবং কর্মই উপাসনা এই ধারণা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এর মাধ্যমে আমরা অবশ্যই একদিন আমাদের কাজে সফলতা পাব।
কর্মই উপাসনা
কর্মই পূজা, এই শব্দগুলো এখানে প্রবাদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আমরাও অনেক জায়গায় এই শব্দটি লেখা দেখতে পাই। কর্মই উপাসনা, এই শব্দটি যত ছোট, এই শব্দের অর্থ তত বড়। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য আমরা যেমন শুদ্ধ মন ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদত করি, তেমনি আমাদের কাজে সফল হতে হলে আমাদের কাজ সম্পূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে করতে হবে।
কর্মই পূজা, কে বলেছে?
কর্মই পূজা, আমাদের দেশের বিখ্যাত নেতা মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন। মহাত্মা গান্ধী এই কথাটি ঠিক এভাবে বলেননি। তিনি দেখলেন, অনেকে কাজ করতে লজ্জা পায়, তাদের মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু কাজ খুবই ছোট। এ কারণে তারা সে কাজ করে না, তবে কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়, সব কাজই আবশ্যক।
কর্মই উপাসনা
কর্মই উপাসনা, এই কথাগুলো বলে আমাদের জীবনে কাজের গুরুত্ব। এই শব্দের মাধ্যমে কাজকে উপাসনার সাথে ওজন করা হয়েছে, যাতে আমরা ধারণা করতে পারি এই শব্দটি আমাদের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। যে কোন কাজ করার আগে আমরা তার ফলাফল নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। এইরকম ভাবতে ভাবতে মাঝে মাঝে মনে আসে এই কাজটা করতে আমাদের কিছুটা বাধা হবে। যার কারণে আমরা ভাবতে শুরু করি যে সেই কাজে সফলতা পাওয়া কঠিন। কিন্তু কর্মই ইবাদত, কথাটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে যে, আমরা যখন আমাদের উচ্চ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত সেই কাজে নিয়োজিত থাকব, তখন যেকোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হওয়া আমাদের পক্ষে সহজ হবে। হিন্দু ধর্মের গীতায়ও কর্ম শব্দটি পূজার উল্লেখ আছে। যেখানে বলা হয়েছে যে, ভক্তি, শুদ্ধ চিত্ত ও আবেগের সাথে উপাসনা করলে ভগবান লাভ হয়, তখন ভক্তি, পরিচ্ছন্ন মন ও নিষ্ঠার সাথে যেকোনো কাজ করলে আমরা অবশ্যই সফলতা পাব। কর্ম হাই পূজা শব্দের স্লোগান দিয়েছিলেন আমাদের দেশের মহান নেতা মহাত্মা গান্ধী। এই শব্দটি আমাদের সবাইকে একতা ও আন্তরিকতার সাথে আমাদের কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। কেউ কেউ অনেক কাজকে ছোট কাজের মর্যাদা দিয়েছেন, কিন্তু এই কথাগুলো আমাদের শেখায় যে কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়, সব কাজই তার স্তরে সমান। যে ব্যক্তি এই শব্দের অর্থ ভালভাবে বোঝে, কর্ম হল উপাসনা, সে সহজেই তার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। তিনি কখনই তার ব্যর্থতাকে ভয় পান না এবং সর্বদা তার কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই শব্দগুলো আমাদের শিক্ষা দেয় যে কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়, সব কাজই তার স্তরে সমান। যে ব্যক্তি এই শব্দের অর্থ ভালভাবে বোঝে, কর্ম হল উপাসনা, সে সহজেই তার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। তিনি কখনই তার ব্যর্থতাকে ভয় পান না এবং সর্বদা তার কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই শব্দগুলো আমাদের শিক্ষা দেয় যে কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়, সব কাজই তার স্তরে সমান। যে ব্যক্তি এই শব্দের অর্থ ভালভাবে বোঝে, কর্ম হল উপাসনা, সে সহজেই তার সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। তিনি কখনই তার ব্যর্থতাকে ভয় পান না এবং সর্বদা তার কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করেন।
কর্মই পূজা, কথার গুরুত্ব
- কর্মই উপাসনা এই কথাটি মাথায় রেখে আমরা যদি কোনো কাজ করি, তাহলে সেই কাজটি করার জন্য আমরা আমাদের মনকে রাখি এবং সেই কাজটি নিরন্তর করতে ভালো লাগে। সেই কাজকে ইবাদত বোঝা, আমরা যখন কিছু কাজ একটানা করি, তখন সেই কাজে দ্রুত অগ্রগতি হয়, যার ফলে আমাদের সফলতা পাওয়া সহজ হয়। এই শব্দটি আমাদের কাজ করতে উৎসাহিত করে এবং এটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ যখন কোনো কিছুর আকাঙ্ক্ষা আমাদের মধ্যে আসে, তখন আমরা তা পাওয়ার জন্য বেশি বেশি চেষ্টা করি। কর্মই ইবাদত, কথার দ্বারা আমরা এমন কোনো কাজকে ছোট-বড় মনে করি না, যা কারো জীবনে খুব উপকারী। আমরা যখন সেই কাজটি ভালোভাবে শিখি এবং বুঝতে পারি, তখন সেই কাজ নিজেই বড় হয়ে যায়। এই শব্দটি শেখায় যে আমাদের কারও কাজের সাথে তার তুলনা করা উচিত নয় এবং এই নীতিগুলি মানুষের জন্য খুব উপকারী।
কর্ম উপাসনা শব্দটি একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে বোঝা যাক। ধিরুভাই আম্বানি যাকে বিশ্বের খুব কম মানুষই চেনেন। ধিরুভাই আম্বানি চাকরি খুঁজছিলেন, কয়েকদিন খোঁজাখুঁজির পর গাড়িতে পেট্রোল ভরার জন্য একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি পান। সেই কাজকে তিনি ছোট কাজ মনে না করে কর্মফলের নীতিতে নিরন্তর সেই কাজ করতে থাকেন। তিনি তার কাছ থেকে কিছু পেট্রোল পাম্পের তথ্য পান, তাই তিনি সেই তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সেই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে থাকেন। বহু বছর ধরে সে সেই কাজটি করে এবং একদিন সে সব বুঝতে পারে। পেট্রোলের ব্যবসার খবর পেয়ে তিনি নিজের পেট্রোল পাম্প খুলে তাতে সাফল্য পান। এবং আজ পর্যন্ত তিনি একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এই উদাহরণ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ধিরু ভাই আম্বানি যদি পেট্রোল পাম্পের কাজকে ছোট কাজ না মনে করেন, তাই তার জীবন বদলায় না। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কাজটি ইবাদত এবং সেই কাজ থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছিলেন এবং তিনি একজন সফল ব্যক্তিতে পরিণত হন। আমরা প্রায়ই কোম্পানি বা কারখানায় কর্ম হি পূজা হ্যায়-এর পোস্টার দেখি, তা যে ধরনের কাজই হোক না কেন। কারণ এটি আমাদের মনোবল বাড়ায় এবং আমরা সেই কাজটি সততার সাথে করি। ছোট-বড় অফিসে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে, এর কারণে আমাদের অফিসের সকল সদস্যের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই। তারা সমান বোধ করে এবং একে অপরের কাজকে সম্মান করে। এ কারণে আমাদের অফিসের সকল সদস্যের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই। তারা সমান বোধ করে এবং একে অপরের কাজকে সম্মান করে। এ কারণে আমাদের অফিসের সকল সদস্যের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই। তারা সমান বোধ করে এবং একে অপরের কাজকে সম্মান করে।
কর্ম হল উপাসনা, সমাজে শব্দের প্রভাব
আমরা যখন কোন কাজ সেরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসি তখন আমাদের সমাজের মানুষ আমাদের দিকে খারাপ চোখে তাকায় না। সবাই আমাদের কাজের প্রশংসা করে, যা আমাদের মনোবল বাড়ায়।আমাদের বাড়ির বড়রা সবসময় আমাদের বোঝায় যে আমরা যাই করি না কেন, ভালভাবে এবং হৃদয় দিয়ে করি। গুরুজনদের এই বাক্যের অর্থ হলো, কর্মই ইবাদত। এটা আমাদের বড়রা আমাদের বোঝাতে চাইছেন। কর্মই পূজা, কথাটি আমাদের সমাজের সকল মানুষের কাছে জেনে আমাদের সমাজের সবাই একে অপরকে সম্মান করবে। এর কারণে সবার মধ্যে সবসময় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকবে, যা একটি সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারো কাজকে কখনোই ছোট কাজ বলা উচিত নয়। এতে তার মনোবল ভেঙ্গে যায় এবং সেই কাজের প্রতি বিতৃষ্ণা বোধ করে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা নিয়েই সব কাজ করা উচিত। সেই কাজে ব্যর্থ হওয়ার ভয় পাবেন না। আমাদের উচিত কর্মের নীতি অনুসারে প্রতিটি কাজ পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে করা। কারণ আমরা সবসময় মন দিয়ে কাজ করলে ইতিবাচক ফল পাই। আমাদের কাজের সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত হওয়া উচিত, যাতে আমরা আমাদের কাজের দ্রুত অগ্রগতি পেতে পারি। প্রত্যেকের কাজকে আমাদের সম্মান করা উচিত, কারণ এটি সেই কাজের প্রতি তার আগ্রহ বাড়ায় এবং এটি তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যদি আমরা সহজ কথায় কর্মকে উপাসনা ব্যাখ্যা করি, তবে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের সমস্ত কাজকে সম্মান করা উচিত কারণ কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। কোন কাজ করতে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়, কারণ সব কাজই প্রথমে ছোট থেকে শুরু হয়। কারণ এতে ওই কাজের প্রতি তার আগ্রহ বাড়ে এবং তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যদি আমরা সহজ কথায় কর্মকে উপাসনা ব্যাখ্যা করি, তবে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের সমস্ত কাজকে সম্মান করা উচিত কারণ কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। কোন কাজ করতে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়, কারণ সব কাজই প্রথমে ছোট থেকে শুরু হয়। কারণ এতে ওই কাজের প্রতি তার আগ্রহ বাড়ে এবং তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যদি আমরা সহজ কথায় কর্মকে উপাসনা ব্যাখ্যা করি, তবে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের সমস্ত কাজকে সম্মান করা উচিত কারণ কোনও কাজই ছোট বা বড় নয়। কোন কাজ করতে আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত নয়, কারণ সব কাজই প্রথমে ছোট থেকে শুরু হয়।
উপসংহার
অনেক সময় আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষের সাথে দেখা হয়, যারা কারো কাজ নিয়ে খারাপ কথা বলে। আমাদের উচিত তাদের ভালভাবে ব্যাখ্যা করা এবং তাদের অবশ্যই সেই কাজের গুরুত্ব বলা উচিত। এতে আমাদের সমাজের উন্নয়ন ঘটবে এবং সবাই একে অপরকে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবে। এর মাধ্যমে আমাদের চারপাশের মানুষদের মধ্যে সবসময় একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকবে। আমাদের সবসময় আমাদের কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা উচিত এবং ব্যর্থতার ভয় পাওয়া উচিত নয়। কারণ ব্যর্থতা আমাদের যা শেখায় তা কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের কাজকে ভালবাসতে হবে এবং আমাদের কাজ করে যেতে হবে, আমরা অবশ্যই ফল একদিন পাব, এই চিন্তা আমাদের সবার মধ্যে থাকা উচিত। আমরা মনে করি যে কর্মই উপাসনা এবং উত্সাহিত করা উচিত এবং আমাদের এই নীতি গ্রহণ করা উচিত। যার কারণে এই নীতি আমাদের সাথে আমাদের সমাজ ও দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে। তাই কর্মই ছিল পূজা কিন্তু রচনা, আশা করি কর্ম হল উপাসনা কিন্তু বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি আপনার অবশ্যই ভালো লেগেছে (Hindi Essay On Work Is Worship)। আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।