গাছ সংরক্ষণের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Save Trees In Bengali

গাছ সংরক্ষণের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Save Trees In Bengali

গাছ সংরক্ষণের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Save Trees In Bengali - 2300 শব্দসমূহে


আজ আমরা বাংলায় গাছ সংরক্ষণের উপর প্রবন্ধ লিখব । গাছ সংরক্ষণের উপর লেখা এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা হয়েছে। এই প্রবন্ধটি সেভ ট্রিস (বাংলায় গাছ সংরক্ষণের নিবন্ধ) আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

বৃক্ষ সংরক্ষণের প্রবন্ধ (Save Trees Essay in Bengali) ভূমিকা

বৃক্ষ ও পরিবেশের কারণেই মানুষের অস্তিত্ব। গাছ মানুষের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাছ-গাছালি থেকে আমরা অনেক ধরনের উপাদান পাই। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন পাই। মানুষ এবং অনেক জীবের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরি হয়। গাছ দূষণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাছপালা বাঁচানো মানুষের কর্তব্য। জনসংখ্যা যত বাড়ছে, তাদের চাহিদাও বাড়ছে। এই চক্রে মানুষ কলকারখানা, বাড়িঘর, অফিস, শপিংমল নির্মাণের চিন্তা না করেই গাছ কেটে ফেলছে। এ ধরনের গাছ কাটার কারণে দূষণ চরমে পৌঁছেছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বৃক্ষ সংরক্ষণ অপরিহার্য।

গাছ থেকে অনেক উপকরণ পাওয়া যায়

গাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। যেমন কাগজ, আসবাবপত্র এবং ওষুধ ইত্যাদি। আমরা গাছ থেকে ফল ও খাবার পাই। প্রতিদিন মানুষ গাছ কেটে বড় বড় দালান তৈরি করে। মানুষের ঘর সাজানোর জন্য যে আসবাবপত্র তৈরি করা হয় তা গাছের কারণেই সম্ভব। মানুষ গাছ থেকে জ্বালানি পায়। মানুষ গাছ থেকে যে কাঠ পায় তা থেকে মানুষ খাদ্য তৈরি করে। গাছ থেকে অনেক কিছু তৈরি হয়। মানুষ আসবাবপত্র তৈরির জন্য লাখ লাখ গাছ কেটে ফেলে। যেখানে এত গাছ কাটা হয় সেখানে নিয়মিত লাগাতে হবে।

দূষণ রোধে গাছ উপকারী

শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কলকারখানা ও যানবাহন থেকে ক্রমাগত নির্গত ধোঁয়া পরিবেশকে দূষিত করে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। দূষণ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। দূষণ পরিবেশের ক্ষতি করেছে। পরিবেশের দুর্দশা দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। এজন্য পৃথিবীতে গাছ থাকা খুবই জরুরি।

বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন

যেখানে একজন মানুষ একটি গাছ কাটে সেখানে তার আরও দশটি গাছ লাগাতে হবে। গাছ পরিবেশকে সবুজ রাখে। বন সংরক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। বন উজাড় হলে পশুরাও বাঁচতে পারবে না। যদি আমরা তাদের বাড়ি ধ্বংস করে, তাহলে তারা কোথায় থাকবে এবং তারা কী খাবে। তাই বন সংরক্ষণ জরুরি।

লোগো সচেতনতা

সকল জনগণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের একসাথে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং গাছ বাঁচাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষ উন্নতির নেশায় এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে যে সে তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য গাছ কাটছে। মানুষ নিজের ধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। গাছ না থাকলে আমরাও বাঁচব না। এই বোধ ও সচেতনতা প্রতিটি দেশের মানুষের মধ্যে থাকা উচিত।

গাছ বাঁচাতে হবে

পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে গাছ বাঁচানো খুবই জরুরি। মানুষ সব জেনেও গাছকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সুবিধার উপায় ও বড় বড় ভবন নির্মাণের পাশাপাশি আমাদের চারপাশে গাছ থাকা জরুরি। আমরা গাছ থেকে তাজা বাতাস পাই, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মানুষ যদি সময়মতো গাছের গুরুত্ব না বোঝে তাহলে অবশ্যই ধ্বংস ঘনিয়ে আসবে। গাছ বাঁচাতে স্কুল প্রশাসন, ছাত্র-ছাত্রীসহ সব ধরনের সংগঠন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সালোকসংশ্লেষণ এবং অক্সিজেন উত্পাদন

এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ তাদের নিজস্ব খাদ্য তৈরি করে। এরা বায়ুমন্ডলে বিদ্যমান পানি, সূর্যালোক এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে। গাছ বায়ুমন্ডলে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মুহূর্তে অক্সিজেন প্রয়োজন এবং আমরা গাছ-গাছালি থেকে এই অক্সিজেন পাই। অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। মানুষ গাছ না বাঁচালে প্রকৃতিও অক্সিজেন দিতে পারত না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে রক্ষা গাছ গ্লোবাল ওয়ার্মিং সমস্যা দূর করে। দূষণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। গ্রিন হাউস গ্যাস, যেমন মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে নেমে আসতে পারে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। সময়মতো গাছ লাগানো এবং গাছের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

বৃষ্টির জন্য প্রয়োজন

বড় গাছ এবং গাছপালা বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বজায় রাখে। গাছ বৃষ্টি ঘটায়। যদি গাছ না থাকে, তবে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে জ্বলন্ত সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে পৌঁছাবে। মানুষ যেভাবে গাছ কাটছে তাতে বৃষ্টির অভাব দেখা যায় অনেক জায়গায়। তাই প্রতি বছরই মানুষ ও বিশেষ করে কৃষকদের খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। গাছ বাঁচানো খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

মাটি ক্ষয় বিরুদ্ধে সুরক্ষা

গাছের শিকড় জোর করে মাটি চেপে ধরে। গাছের কারণে উর্বর মাটি বন্যার মতো পরিস্থিতিতে ভেসে যায় না। এইভাবে এটি মাটির ক্ষয় বন্ধ করতে পারে। গাছ শুধু মাটি নয়, পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা পানিকেও ধরে রাখে।

প্রাকৃতিক সার উত্পাদন

মাটিতে পড়ে থাকা গাছের ডাল ও পাতা থেকে প্রাকৃতিক সার তৈরি করা যায়। রাসায়নিক সারের চেয়ে প্রাকৃতিক সার অনেক ভালো। কিছু প্রাণী তৃণভোজী। যেমন গরু, হাতি, ছাগল, বানর। যিনি সারা জীবন গাছের উপর নির্ভরশীল। গাছ না থাকলে এসব প্রাণীর অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে।

পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করুন

শহরের রাস্তার পাশে বড় বড় গাছ আমাদের সূর্যের প্রবল রশ্মি থেকে রক্ষা করে। পার্ক ও উদ্যানে গাছ-গাছালির মাঝে বসে মন আনন্দে ভরে ওঠে।

গাছের পূজা

আমাদের দেশে মানুষ বট, পিপল, তুলসী, আম, কলা ইত্যাদি গাছের পূজা করে। উপাসনার পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক কারণ রয়েছে।

বন কাটার খারাপ প্রভাব

আমরা বন কাটার খারাপ প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। যার মধ্যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, গ্রিনহাউস প্রভাব সহ বরফ গলে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত। এত কিছুর পরও প্রতি বছর আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হই। এতে আমাদের সকলকে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ-গাছালি সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মানুষ তার চাহিদা পূরণ করছে। বড় ও চওড়া জায়গা, কারখানার জন্য গাছ কাটতে হয়। এটি বন্যা, খরা এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে পরিচালিত করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

বায়ু দূষণ

গাছ কাটার কারণে গাছের সংখ্যা কমছে। রাস্তা তৈরির জন্য তারা বন কাটছে। সড়কে লাখ লাখ দ্রুতগামী যানবাহন বাতাসকে দূষিত করছে। এর থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশকে দূষিত করে স্বাস্থ্য নষ্ট করে।

উপসংহার

আমাদের সকলকে একসাথে অঙ্গীকার করতে হবে যে আমরা গাছ-গাছালি রক্ষা করব। মানুষ যদি এভাবে গাছ কাটতে থাকে তাহলে পৃথিবীতে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। এমন দিন যাতে না আসে সেজন্য আমাদের সকলের উচিত গাছ লাগানো এবং যত্ন নেওয়া। আমাদের চারপাশে গাছ লাগাতে হবে এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে।

আরও পড়ুন:-

  • Essay on Importance Of Trees Essay in Bengali Essay on Trees (Bengali Language) 10 Lines On Save Trees in Bengali Language Essay on Trees of Autobiography (Ped Ki Atmakatha Essay in Bengali) Global Warming Essay on (Global Warming Essay in Bengali)

তাই এটি ছিল সেভ ট্রিস (বাংলায় গাছ বাঁচান প্রবন্ধ) বিষয়ক রচনা, আমি আশা করি আপনি গাছ বাঁচানের উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।


গাছ সংরক্ষণের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Save Trees In Bengali

Tags