রোজগারের উপর রচনা - কর্মসংস্থান বাংলায় | Essay On Rojgar - Employment In Bengali

রোজগারের উপর রচনা - কর্মসংস্থান বাংলায় | Essay On Rojgar - Employment In Bengali

রোজগারের উপর রচনা - কর্মসংস্থান বাংলায় | Essay On Rojgar - Employment In Bengali - 3100 শব্দসমূহে


আজ আমরা চাকরির উপর একটি প্রবন্ধ লিখব (বাংলায় রোজগারের উপর রচনা)। কর্মসংস্থানের উপর এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের ছাত্রদের জন্য লেখা হয়েছে। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য চাকরির উপর লেখা এই প্রবন্ধটি ব্যবহার করতে পারেন (বাংলায় রোজগারের উপর রচনা)। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

কর্মসংস্থান সম্পর্কিত রচনা (কর্মসংস্থান / বাংলায় রোজগার রচনা) ভূমিকা

ভারতে অনেক সমস্যার মধ্যে বেকার সমস্যা একটি গুরুতর সমস্যা। কর্মসংস্থান সকল মানুষের প্রয়োজন। সকলেই শিক্ষিত হয়ে কর্মসংস্থানের সন্ধানে বের হয়। অনেকে চাকরি পায় আবার কেউ বঞ্চিত হয়। কর্মসংস্থান মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্মসংস্থান ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব। সব মানুষের জীবনে তিনটি প্রধান উপায় প্রয়োজন, তা হল খাদ্য, বস্ত্র এবং মাথা ঢেকে রাখার জন্য একটি ছাদ। কর্মসংস্থানের আয় থেকে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। প্রত্যেক মানুষকেই কোনো না কোনো কাজ করতে হয়। কর্মসংস্থান মানুষকে শুধু অর্থই দেয় না, মানুষকে উন্নতির অনেক সুযোগও দেয়। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সম্পদও দেয় সম্মান। কর্মসংস্থান আমাদের জ্ঞান দেয় এবং এটি আমাদের শেখায় কিভাবে আমরা আমাদের ক্ষেত্রে আরও সফল হতে পারি। কিছু মানুষ দেশে ক্ষুদ্র শিল্পে কাজ করে। অনেকে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অনেকে ব্যবসা করেন আবার অনেকে বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করেন। অনেকে প্রখর রোদে কাজ করে শ্রমিকের কাজ করে। একই সাথে অনেকে বড় বড় কারখানায় কাজ করে।কাজ পরিশ্রমের পর কাউকে দৈনিক মজুরি দেওয়া হয়। যারা কাজ করেন, তারা মাসিক বেতন পান। এই বেতন দিয়েই মানুষ ঘর চালায়।

বিভিন্ন কাজের সুযোগ/খাত

আজকাল অনেক শিক্ষার্থী কলেজে পড়ে এবং খণ্ডকালীন চাকরি করে। এটি যাতে তিনি তার পরবর্তী পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতে পারেন। কিছু লোক তাদের নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে। এই ধরনের ব্যবসা অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির এই সময়ে পরিবারের প্রায় প্রতিটি সদস্যই চাকরির সুযোগ খুঁজছেন। আজকাল মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং, মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করছে। এ কারণে মানুষ ঘরে বসেও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। নারীরা আজকাল ঘরে কাজ করার পাশাপাশি বাইরে গিয়ে পুরুষের মতো কাজ করছে। নারী-পুরুষ উভয়েই চাকরি করছে যাতে তারা ভালো জীবনযাপন করতে পারে। মানুষ তাদের চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করে।

শিক্ষিত হতে হবে

জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। শিক্ষা ছাড়া জীবন নিষ্প্রাণ এবং কষ্টে পরিপূর্ণ। সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। শিক্ষা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে না, বরং তাকে জীবিকার জন্য কর্মসংস্থানও দেয়। শিক্ষা মানে মানুষের চিন্তা-চেতনার বিকাশ, ন্যায়-অন্যায় এবং ভালো-মন্দের পার্থক্য করা। বর্তমান যুগে শিক্ষাকে কর্মসংস্থানের যোগসূত্র হিসেবে দেখা হয়। কোম্পানি যত বেশি শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ তাকেই নির্বাচন করে। কোম্পানি ওই ব্যক্তিকে চাকরি দেয়। শিক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষ তার লুকানো ক্ষমতার বিকাশ ঘটাতে পারে। ধনী হোক বা দরিদ্র, সবার শিক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। চাকরির জন্য শিক্ষা প্রয়োজন শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করে। যদি ব্যক্তিটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত হয় তবে সে একটি ভাল চাকরি পায়। আপনি যদি অধ্যবসায়ের সাথে পড়াশোনা করেন তবে আপনি আপনার পছন্দের ক্ষেত্রে একটি কাজ করতে পারেন। যদি কোনো ব্যক্তি দারিদ্র্য ও পারিবারিক সমস্যার কারণে শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারে। তাহলে এমন ব্যক্তিকে কোনো না কোনো ধরনের দক্ষতা সংক্রান্ত কাজে পারদর্শী হতে হবে। যে কোনো ব্যক্তি সুশিক্ষিত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরির দরজা খুলে যায়। দরিদ্র ও অসহায় মানুষ শিক্ষার মতো অমূল্য মাধ্যম পায় না, তাই ভালো কর্মসংস্থান তাদের কাছে স্বপ্নই থেকে যায়। দেশে দারিদ্র্য, অশিক্ষার মতো সমস্যা এখনো বিরাজ করছে। যে কারণে অশিক্ষার কারণে অনেকেই ভালো কাজ করতে পারছেন না।

সরকার কর্তৃক জারিকৃত কর্মসংস্থান প্রকল্প

কোনো ব্যক্তি যদি চাকরি করতে চায়, তাহলে তার জন্য শিক্ষিত হওয়া খুবই জরুরি। সরকার গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের অধীনে দরিদ্র এবং দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী লোকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি ভাল প্রচেষ্টা করেছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান করা। এই স্কিম অনুযায়ী, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের একজন সদস্যকে পঞ্চাশ থেকে একশ দিনের জন্য চাকরি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনা চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান যোজনা অনুসারে, অভাবী লোকদের স্বল্প হারে সুদ প্রদান করা হয়। এটি করা হয় যাতে লোকেরা এই অর্থ দিয়ে তাদের ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে। সরকার মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো অনেক প্রকল্প শুরু করেছে। এ ধরনের প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোও এখন ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ শুরু করেছে। যাতে মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। মহাত্মা গ্রামীণ কর্মসংস্থান আইন 2005,

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে

ছোট ও হস্তশিল্প সংশ্লিষ্ট কাজে দেশকে আরও উৎসাহ দিতে হবে। এতে দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দেশের সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে আরও বিনিয়োগ ও উৎসাহিত করলে কর্মসংস্থানের সুযোগ অবশ্যই বাড়বে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় সমস্যা

দেশের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে। দেশে চাকরির সুযোগ কমছে। এ ব্যাপারে আমাদের নিজেদেরই সতর্ক হওয়া উচিত। যত বেশি মানুষ থাকবে, প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তত বেশি হবে। যার কারণে কিছু লোক চাকরি পাবে আবার কিছু লোককে হতাশ হতে হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হলে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন

এখন দেশের সরকার অনেক কাজের জন্য মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে। এটা করা হয় যাতে মানুষ ভালোভাবে প্রশিক্ষিত হতে পারে। এভাবে মানুষ তাদের কাজে পারদর্শী হতে পারে। এতে তিনি সহজেই চাকরি করতে পারেন।

কোনো কাজ খুব ছোট নয়

মানুষ তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করে। কেউ কৃষক, কেউ দোকানদার, কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি। সবাই নিজ নিজ ক্ষেতে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মানুষ জীবিকা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।

কর্মসংস্থানের জন্য অর্থনীতির উন্নয়ন প্রয়োজন

আগামী বছরগুলোতে দেশের শ্রমশক্তি ত্রিশ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের জনসংখ্যার অধিকাংশই তরুণ বয়সী। দেশের জনসংখ্যা বেশি হলে সরকারের উচিত তার সুবিধা নেওয়া। সরকারের উচিত শিক্ষা, দক্ষতার ক্ষেত্রে সব দেশবাসীর উন্নয়ন করা। সরকারের উচিত প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্যের দায়িত্ব পালন করা, কেউ না খেয়ে ঘুমায় ইত্যাদি। এমন দেশ করতে পারলে অর্থনীতির অগ্রগতি হবে এবং দেশের তরুণরা অবশ্যই কর্মসংস্থান পাবে। সরকার যুবকদের প্রশিক্ষণের জন্য অনেক ইতিবাচক পরিকল্পনাও চালিয়েছে এবং সফল হয়েছে। গবেষকদের মতে, আইটিআই-তে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। একাদশ কর্মসংস্থান পরিকল্পনায় দক্ষতা উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পটি সফল হয়েছে। এই স্কিম তাদের জন্য, যিনি ছোটবেলা থেকেই শ্রমিকের কাজ করেন। দ্বাদশ পরিকল্পনার আওতায় যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগও দেওয়া হবে। দরিদ্র মানুষ দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়। এসব নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকিং, পর্যটন, ব্যবসা ও পরিবহন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়ানো হবে। গ্রাম থেকে শহরে আসা যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা দ্রুত কাজ শিখে ফেলে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আরও শিক্ষার জন্য অর্থ নেই, এই প্রকল্প তাদের শিক্ষার জন্য ঋণ নিতে সাহায্য করে। দক্ষতার মডিউলগুলি পদ্ধতির প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করতে হবে। এতে সহায়তা করবে স্কিল কাউন্সিলও। এতে প্রশিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা ও পরিবহন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। গ্রাম থেকে শহরে আসা যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা দ্রুত কাজ শিখে ফেলে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আরও শিক্ষার জন্য অর্থ নেই, এই প্রকল্প তাদের শিক্ষার জন্য ঋণ নিতে সাহায্য করে। দক্ষতার মডিউলগুলি পদ্ধতির প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করতে হবে। এতে সহায়তা করবে স্কিল কাউন্সিলও। এতে প্রশিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা ও পরিবহন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। গ্রাম থেকে শহরে আসা যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা দ্রুত কাজ শিখে ফেলে। যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আরও শিক্ষার জন্য অর্থ নেই, এই প্রকল্প তাদের শিক্ষার জন্য ঋণ নিতে সাহায্য করে। দক্ষতার মডিউলগুলি পদ্ধতির প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করতে হবে। এতে সহায়তা করবে স্কিল কাউন্সিলও। এতে প্রশিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থান হবে।

গ্রামীণ জায়গায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা

গ্রামের উন্নয়নের জন্য রাস্তা, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিভাগে কাজ করা হয়। অনেক গ্রামে মানুষ সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। গ্রামে আগের চেয়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। এখনও অনেক কিছু করা বাকি।

উপসংহার

সরকার দেশের বেকারত্ব কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। অর্থনীতি সুসংগঠিত হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে এবং নিজ নিজ দিক থেকে ভালো প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে দেশের প্রতিটি মানুষ যেন শিক্ষিত হয়। সবাই যখন শিক্ষিত হবে, তখন তারা চাকরি করবে এবং দেশও সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:-

  • বাংলায় বেকারত্ব প্রবন্ধ

তাই এই ছিল কর্মসংস্থানের প্রবন্ধ, আমি আশা করি আপনি চাকরির উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন (Hindi Essay On Rojgar)। আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।


রোজগারের উপর রচনা - কর্মসংস্থান বাংলায় | Essay On Rojgar - Employment In Bengali

Tags