দেশপ্রেমের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Patriotism In Bengali

দেশপ্রেমের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Patriotism In Bengali

দেশপ্রেমের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Patriotism In Bengali - 3200 শব্দসমূহে


আজ আমরা বাংলায় দেশপ্রেমের উপর প্রবন্ধ লিখব । দেশপ্রেমের উপর এই প্রবন্ধটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের ছাত্রদের জন্য লেখা। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য বাংলায় দেশপ্রেমের উপর এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

বাংলা ভূমিকায় দেশপ্রেমের প্রবন্ধ

দেশপ্রেম মানে দেশের প্রতি ভালোবাসা, ভক্তি ও আনুগত্য। যে ব্যক্তি দেশকে সারাজীবন ভালোবাসে তাকে দেশপ্রেমিক বলা হয়। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক দেশের জন্য গর্বিত এবং যে কোনো সময় দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত। এই অনুভূতিকে দেশপ্রেম বলে। মানুষ যে স্থান, স্থান ও দেশে বাস করে তার সাথে মানুষ যুক্ত হয়। আমরা সেই দেশের প্রতি দায়বদ্ধ হই। যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না তার কোনো সম্মান নেই এবং তার কোনো অনুভূতিও নেই। জনগণকে সর্বদা তাদের মাতৃভূমিকে সম্মান করতে হবে। যে দেশ তাকে সারাজীবন সব দিয়েছে তার ঋণ সে শোধ করতে পারবে না। দেশের সৈনিকরা সর্বদা তাদের দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করে। তিনি জীবনের জন্য তার দেশকে রক্ষা করেন এবং প্রয়োজনে তার জীবন উৎসর্গ করেন। যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তারা জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেন না। যে ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে নয়, যেভাবেই হোক দেশের কথা ভাবুন, তাকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলা হয়। দেশের সকল নিরাপত্তা বাহিনী মাতৃভূমির প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করে। দেশের সীমান্তে নিয়োজিত এই সাহসী সৈনিক দেশপ্রেমের জীবন্ত উদাহরণ। পরিবার ছেড়ে মাতৃভূমির জন্য প্রাণ দিতেও সে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। তিনি সর্বদা আমাদেরকে সন্ত্রাসী ও অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন যারা দেশের প্রতি কুদৃষ্টি রাখে। কিছু বিপজ্জনক এবং হিংস্র মানসিকতার লোক আছে যারা দেশপ্রেমের ভান করে। আসলে সে দেশকে অপমান করে দেশ লুটপাট করে অশান্তি ছড়ায়। এই ধরনের লোকদের দেশদ্রোহী বলা হয়। মাতৃভূমির প্রতি নিবেদন, রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। তাদের রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। তাদের রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। তাদের রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। তাদের রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। যারা দেশপ্রেমের ভান করে। আসলে সে দেশকে অপমান করে দেশ লুটপাট করে অশান্তি ছড়ায়। এই ধরনের লোকদের দেশদ্রোহী বলা হয়। মাতৃভূমির প্রতি নিবেদন, রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না। যারা দেশপ্রেমের ভান করে। আসলে সে দেশকে অপমান করে দেশ লুটপাট করে অশান্তি ছড়ায়। এই ধরনের লোকদের দেশদ্রোহী বলা হয়। মাতৃভূমির প্রতি নিবেদন, রক্ষা ও সম্মান করাকে দেশপ্রেম বলে। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তার দায়িত্ব থেকে কখনো পিছপা হন না।

দেশপ্রেম প্রকাশের কিছু উপায়

একজন সাধারণ মানুষও কিছু প্রয়োজনীয় উপায়ে দেশপ্রেম প্রকাশ করতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তি সৈনিক হতে পারে না, তবে কিছু কাজ এবং দায়িত্ব পালন করে দেশপ্রেমও দেখাতে পারে। আমরা আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে পারি। আপনার শহর পরিষ্কার রাখতে, আপনি মানুষকে সচেতন করতে পারেন যে তারা যেন এখানে-সেখানে আবর্জনা না ফেলে। সবাই যদি নিজ নিজ শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখে তাহলে রোগ-বালাই কমবে এবং দেশও নিরাপদ থাকবে। জনগণকে পাবলিক প্লেস পরিষ্কার রাখতে হবে। কিছু বোকা মানুষ কিছু লিখে পাবলিক প্লেস নোংরা করে, যা ভুল। আমাদের সর্বদা শ্রদ্ধা করা উচিত শহীদদের যারা তাদের দেশকে বাঁচাতে জীবন দিয়েছেন। জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ যেন বৈষম্য না করে। যারা বহু ভাষায় কথা বলে এবং ধর্মে বিশ্বাসী তারা ভারতে বাস করে। সবাইকে একসাথে বসবাস করতে হবে।

দেশপ্রেমের অভাব

বর্তমান তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব দেখা যায়। কিছু স্বার্থপর মানুষ আছে, যারা তারা যে দেশে বাস করে তার খারাপ করে। আজকাল এত ব্যস্ত জীবনে মানুষ শুধু নিজের স্বার্থপরতা দেখে, দেশের কথা ভাবে না। সবাই তাদের উন্নতিতে ব্যস্ত, তারা তাদের জীবনে সাফল্য চায়। প্রতিটি মানুষই জীবনে অর্থ উপার্জনের পরেই ছুটছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশ নিয়ে ভাবার সময় নেই তার। প্রতিটি মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের গুণাবলি থাকা প্রয়োজন। একটি সফল জাতি গঠনে দেশপ্রেমের গুণাবলি থাকা খুবই জরুরি।

আয়কর দিতে হয়

জনগণকে সঠিকভাবে আয়কর দিতে হবে। দেশে জমানো এই ট্যাক্স থেকে রাস্তাঘাট, গ্রাম ও শহর তৈরি হয়। দেশের সব পথ, রেল, বাস ইত্যাদি সুবিধার জন্য ট্যাক্স প্রয়োজন। সত্যই সব নাগরিকের কর দেওয়া উচিত। এতে করে আমরা প্রকৃত দেশবাসী হওয়ার দায়িত্ব পালন করতে পারি।

রাষ্ট্রদ্রোহের কাজগুলোকে রোধ করার প্রয়োজন

অবৈধভাবে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ ও আত্মসাৎ করাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলে। একে ইংরেজিতে বলা হয় মানি লন্ডারিং। অনেক ভুল মানুষ তাদের কালো টাকা বিদেশের ব্যাংকে রাখে। তারা এটা করে কারণ তারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে। এই ধরনের বিশ্বাসঘাতক ট্যাক্স দেয় না। এসব লোককে ধরে এনে শাস্তি দিতে হবে। কিছু মানুষ টাকার লোভে নিজের অজান্তেই ভুল মানুষকে আশ্রয় দেয় বাড়িতে। এই ধরনের ভুল লোকেরা সন্ত্রাসের মতো জঘন্য অপরাধ করে। এটাকে বলে দেশদ্রোহিতা।

শিশুদের মধ্যে দেশপ্রেমের অনুভূতি জাগ্রত করা প্রয়োজন।

ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দেশের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝানো জরুরি। তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলা উচিত। যেভাবে ব্রিটিশ শাসনামলে সকল দেশপ্রেমিক একত্রে যুদ্ধ করে দেশের জন্য স্বাধীনতা পেয়েছিল। স্কুল ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমের অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। দেশের প্রতি ভালোবাসা আর সম্মানের চেয়ে বড় জীবনে আর কিছু নেই। ১৫ আগস্ট ও ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব বোঝাতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মহাত্মা গান্ধী, ভগৎ সিং, নেতাজি, চন্দ্র শেখর আজাদ সম্পর্কে শিশুদের স্কুলে পড়াতে হবে। এটা বোঝানো জরুরী যে আজ আমরা যদি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকি, তাহলে এর কৃতিত্ব যায় এই মহাপুরুষদের। আমাদের এই দেশ এবং এই দেশপ্রেমিকদের সর্বদা সম্মান করা উচিত। দেশপ্রেম সম্পর্কিত গল্প, কবিতা ইত্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা এসব পড়ে দেশপ্রেমের অনুভূতি বুঝতে পারে।

শহীদদের সম্মান

আমাদের উচিত সেইসব দেশপ্রেমিকদের সম্মান করা যারা দেশ রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেন। আমাদের কখনই তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সরকারকে সব সময় শহীদদের পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। শহীদদের স্ত্রীদের চাকরির সুযোগ এবং পেনশন দিতে হবে। তাদের সন্তানদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। যেসব নাগরিক বা সৈনিক বা সাধারণ মানুষ দেশের স্বার্থে কাজ করেন, সরকারের উচিত তাদের সম্মান দেওয়া।

দেশের ঐক্যের প্রতীক অর্থাৎ তেরঙ্গার প্রতি শ্রদ্ধা

আমাদের দেশের তেরঙাকে সবসময় সম্মান করা উচিত। দেশের তরুণ প্রজন্ম ও শিশুদেরও তাদের দেশের তেরঙাকে হৃদয় থেকে সম্মান করতে শেখাতে হবে।

জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করুন

দেশবাসীর উচিত তাদের জাতীয় সঙ্গীত জনগণ মনকে সম্মান করা। অনেক পরিস্থিতিতে দেখা গেছে জাতীয় সঙ্গীতের সময় মানুষ দাঁড়ায় না, এটা অপমানজনক। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক শুধু দেশকে সম্মান করেন না, তার দেশের সাথে সম্পর্কিত সবকিছুকেও সম্মান করেন।

দেশকে শক্তিশালী করতে অন্যায়কে দমন করুন

দেশকে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও ক্ষমতায়িত করতে হলে সামাজিক কুসংস্কার দূর করতে হবে। তবে আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ সচেতন হয়েছে। বর্তমানেও যৌতুক প্রথা, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমের মতো অপরাধ অনেক জায়গায় সংঘটিত হচ্ছে। এটা বন্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাজনীতিতে প্রজন্মের দুর্নীতি নির্মূল করাও প্রয়োজন।

দেশকে স্বাধীনতা দিতে এই দেশপ্রেমিকদের অবদান

আম্বেদকর প্রমুখ বিপ্লবীরা অবদান রেখেছেন। ভগৎ সিং দেশকে স্বাধীন করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি নির্ভয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং আজও মানুষ তাকে স্মরণ করে। দেশ স্বাধীন করার জন্য সুভাষ চন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন। তার চিন্তাভাবনা ছিল ভিন্ন। তার দৃঢ় চিন্তা ও অভিপ্রায়ের জন্য দেশবাসী আজও তাকে গর্বের সাথে স্মরণ করে। বসু হিন্দু ও মুসলমানদের একত্রিত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীও ছিলেন সম্পূর্ণভাবে দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ছিলেন অহিংসা ও সত্যের পুরোহিত। মহাত্মা গান্ধী লবণ আন্দোলন ও বহু আন্দোলন করেন এবং ব্রিটিশদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন। বাল গঙ্গাধর তিলকও ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। তার অবদানের কথাও আমরা ভালো করেই জানি। তিনি নিজেও দেশবাসীর অধিকার আদায়ের জন্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছিলেন। সরোজিনী নাইডুও দেশবাসীকে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে ডাকেন। নিরন্তর নৃশংসতা থেকে মুক্তি পেতে, অনেক কাজ করা হয়েছিল। এ জন্য তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছে। তিনি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন।

সত্য এবং মিথ্যা দেশপ্রেমিক মধ্যে পার্থক্য

একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে দেশপ্রেমিক হওয়ার দায়িত্ব পালন করে। প্রতিটি পরিস্থিতিতে দেশকে সমর্থন করে এবং দেশের উন্নতির চেষ্টা করে। একজন মিথ্যা দেশপ্রেমিক শুধু দেশপ্রেমিক হওয়ার ভান করে। এই ধরনের মিথ্যা দেশপ্রেমিকরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সবকিছু করতে পারে। সে নিজের সুবিধার জন্য দেশপ্রেমের ভান করে। এই ধরনের মিথ্যাবাদীদের দেশপ্রেমের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

উপসংহার

একজন দেশপ্রেমিক তার দেশকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। একজন নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক দেশকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। তিনি সব সময় দেশের স্বার্থে কাজ করেন। তিনি দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণের কথা ভাবেন। দেশ গড়ার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং সবাইকে দেশপ্রেমের বার্তাও দেন।

আরও পড়ুন:-

  • Essay on my country great (Mera Bharat Desh Mahan Essay in Bengali) Essay on my country (Mera Desh Essay in Bengali) Essay on Republic Day (বাংলায় প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রবন্ধ) স্বাধীনতা দিবসের প্রবন্ধ

তাই এই ছিল দেশপ্রেমের উপর লেখা, দেশপ্রেম দেশপ্রেমের উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।


দেশপ্রেমের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Patriotism In Bengali

Tags