ভারতীয় কৃষকের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Indian Farmer In Bengali

ভারতীয় কৃষকের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Indian Farmer In Bengali

ভারতীয় কৃষকের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Indian Farmer In Bengali - 1800 শব্দসমূহে


আজ আমরা বাংলায় ভারতীয় কৃষকের উপর প্রবন্ধ লিখব । ভারতীয় কৃষকের উপর এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের ছাত্রদের জন্য লেখা। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য বাংলায় ভারতীয় কৃষকের উপর এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

Essay on Indian Farmer (Indian Farmer Essay in Bengali) Introduction

ভারতের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে। কৃষিকাজই তাদের প্রধান পেশা। এভাবেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। সংক্ষেপে বলা যায়, কৃষিই দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এসব দিক দেখলে বলা যায়, আমরা শুধু কৃষকদের সহায়তায় খাদ্যশস্য পাই। এই কারণেই তাকে অন্নদাতা নামেও ডাকা হয়। ভারতে কৃষির ইতিহাস উল্লেখ কর। তাই সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকেই এখানে কৃষিকাজ হয়ে আসছে। কিন্তু এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরেও ভারতীয় কৃষকের অবস্থা খুবই করুণ। ভারতীয় কৃষকের অবস্থা স্বাধীনতার আগেও ভালো ছিল না এবং পরেও একই আছে। তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য এখন পর্যন্ত কোন অর্থপূর্ণ প্রচেষ্টা করা হয়নি। তবে তাদের জন্য বহুবার আইন পাশ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেসব নিয়ম পুরোপুরি মানা হয়নি। কৃষকদের তাদের রোপণ করা ফসলের একটি বড় অংশ সরকারকে কর হিসেবে দিতে হতো। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে কৃষক ভাইদের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যায়।

ঋণে জীবন

ফসল না হওয়ায় আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। একই কর দিতে, শেঠকে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। একই ঋণ শোধ করতে না পেরে জীবন পর্যন্ত ভার বহন করতে থাকে। আরেকটি কারণ হলো, তাদের কম মজুরিতে মজুরি দিয়ে কাজ করানো হয়। পেট ভরতে বাধ্য হয়ে কম মজুরিতেও কাজ করতে হয় তাদের।

ভারতীয় কৃষকদের জীবনধারা

ভারতের কৃষকরা খুব সাধারণ জীবনযাপন করে। এত পরিশ্রম করেও তারা অভাব-অনটনের জীবনযাপন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের ফসল নষ্ট হলে অন্য ফসল ফলানোর জন্য ঋণ নিতে হয়।

কৃষকদের গুরুত্ব

দেশের অগ্রগতির জন্য এবং সারা দেশের পেট ভরানোর জন্য কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তাহলে আমাদের দেশে খাদ্যশস্যের কোনো অভাব নেই। প্রয়োজন অনুযায়ী শস্য মজুদ করে বাকি শস্য রপ্তানি করা হয়। যার কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে।

কৃষকদের চ্যালেঞ্জ

ফসল কাটার সময় কৃষকদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কখনও বৃষ্টি হয় না, কখনও তুষারপাতের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ভারতীয় কৃষকরা হাল ছাড়েন না। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন এবং ফসল আবাদ করেন। এ কারণেই ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশে খাদ্যশস্য সরবরাহের সমস্যা দেখা দেয় না।

দরকারী টুল

কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বর্তমান সময়ে কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। যার কারণে কৃষকরা চাষাবাদে সামান্য সহায়তা পায় এবং ফসলের উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, রোটাভেটর, রোটো সিড ড্রিল, হ্যাপি সিডার ইত্যাদি। কৃষিকাজে এসব মেশিন ব্যবহার করলে কৃষক ভাইদের সময় ও শ্রম দুটোই সাশ্রয় হয়। যার কারণে তারা বেশি বেশি চাষাবাদ করতে পারছেন। এসব যন্ত্র ছাড়া কৃষি কাজ করা লোহার ছোলা চিবানোর মতো। কৃষির অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির কারণে ভারতে কৃষির বিকাশ ঘটেছে।

কৃষির ধরন

এছাড়াও অনেক ধরনের কৃষিকাজ রয়েছে, যা শুধুমাত্র ভারতীয় কৃষকরা করে। একটি নির্দিষ্ট ধরনের শস্য জন্মানোর জন্য চাষের পদ্ধতিও ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন ধরনের চাষের মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত চাষ, মিশ্র চাষ, শুকনো চাষ, পশুপালন চাষ, বহুমুখী চাষ। এই সমস্ত ধরণের চাষ একটি নির্দিষ্ট ধরণের ফসলের উত্পাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য করা হয়।

কৃষকদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব

আমাদের দেশের উন্নয়নে ভারতীয় কৃষকদের বিশেষ অবদান। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তারা অভাবের জীবনযাপন করে। তাই তাদের সাহায্য করার জন্য যতটা সম্ভব করা আমাদের দায়িত্ব। যেমন আমরা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে অবদান রাখতে পারি। অশিক্ষিত কৃষকের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে কৃষিকাজ করলে তা থেকে আরও বেশি উৎপাদনশীলতা গড়ে উঠতে পারে। কারণ খাদ্য নির্বাচন এবং অত্যাধুনিক মেশিন পরিচালনায় তাদের কোনো সমস্যা হবে না। আরেকটি জিনিস যা আমরা তাদের সাহায্য করতে পারি তা হল শস্যের অপব্যবহার না করা। সাধারণত দেখা যায় বিয়ে, পার্টি বা যে কোনো উৎসবে আমরা লোকজনকে দাওয়াত করি এবং প্রচুর খাবার তৈরি করি। লোকেরা তাদের পুরো প্লেটটি খুব উত্সাহে ভরে এবং অর্ধেক খেয়ে চলে যায়, যা খাবারের সম্পূর্ণ অপচয়। চাষিরা দিনরাত পরিশ্রম করে এটি চাষ করে। তারাও ফসলের বেশি লাভ পাননি। এমন পরিস্থিতিতে খাবার নষ্ট করা কতটুকু ঠিক।

কৃষকদের স্বার্থে চলমান পরিকল্পনা

বর্তমানে, কৃষকদের অবস্থার উন্নতির জন্য, প্রধানত ছয়টি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা কিছু আর্থিক সহায়তা পাবেন এবং দুর্যোগের কারণে তাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরবর্তী ফসলের জন্য তাদের কারও কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে না। শস্যবীমা প্রকল্প, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ, জাতীয় কৃষি বাজার প্রকল্প, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ড প্রকল্প, জৈব কৃষি প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এই সমস্ত পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে। যা অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবেও প্রমাণিত হচ্ছে।

উপসংহার

ভারতীয় কৃষকরা শুধু দেশের পেটই ভরে না, দেশের সত্যিকারের সেবা করে। কারণ এত পরিশ্রম করার পরও তারা অভাবের জীবন যাপন করে। সরকারের উচিত কৃষকের স্বার্থে কাজ করে তাদের উৎসাহিত করা। যাতে ফসল বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ভারতীয় কৃষককে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয়।

আরও পড়ুন:-

  • আত্মজীবনী Of Farmer Essay in Bengali Essay on Indian Agriculture (বাংলায় ভারতীয় কৃষি প্রবন্ধ)

সুতরাং এটি ছিল ভারতীয় কৃষকের উপর প্রবন্ধ (বাংলায় ভারতীয় কৃষক প্রবন্ধ), আমি আশা করি আপনি ভারতীয় কৃষকের উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন (ভারতীয় কৃষকের উপর হিন্দি রচনা) । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।


ভারতীয় কৃষকের উপর রচনা বাংলায় | Essay On Indian Farmer In Bengali

Tags