মোবাইল না থাকলে প্রবন্ধ বাংলায় | Essay On If Mobile Was Not There In Bengali - 2800 শব্দসমূহে
আজ, মোবাইল না থাকলে, আমরা একটি প্রবন্ধ লিখতাম (Essay On If Mobile Was Not there in Bengali) । যদি মোবাইল না থাকত তাহলে বাচ্চাদের জন্য লেখা এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা হয়েছে। মোবাইল না থাকলে (Essay On If Mobile Was Not There in Bengali) লেখা এই রচনাটি আপনি আপনার স্কুল বা কলেজের প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।
প্রবন্ধ যদি মোবাইল না থাকতো বাংলা মুখবন্ধে রচনা
মোবাইল বিজ্ঞানের এক অনন্য উপহার। মোবাইল আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমরা মোবাইলের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। মানুষ পানি খেতে ভুলে গেলেও পকেটে বা ব্যাগে মোবাইল নিতে ভোলে না। মোবাইল আমাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। আমরা যখন চাই, যে কারো সাথে কথা বলতে পারি, তাদের কাছে বার্তা পাঠাতে পারি। মোবাইল না থাকলে অনেক অসুবিধায় পড়তে হতো। মোবাইল দিয়ে অনেক ধরনের কাজ সহজেই করা যায়। মোবাইলে যেকোনো সুবিধা পেতে হাজার হাজার অ্যাপ পাওয়া যায়। এটি একটি অনন্য উদ্ভাবন। যুবক থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সবখানেই মোবাইলের উন্মাদনা দেখা যায়। অনেক কাজ যা আগে শুধুমাত্র কম্পিউটারে করা হত, এখন এগুলো মোবাইল ফোনে সহজেই করা যায়। স্মার্টফোন আজ সবার হাতেই দেখা যাচ্ছে। স্মার্ট ফোন না থাকলে থেমে যেত জীবনের গতিবিধি। লোকেরা সহজে কারও সাথে কথা বলতে সক্ষম হয় না এবং প্রয়োজনে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যে কাজের জন্য আমাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে, সে কাজ মোবাইলের এক ক্লিকেই শেষ হয়ে যায়।
মোবাইল ফোন না থাকলে নিচের সুবিধাগুলো থাকত না। যেমন: অনেক সুবিধার জন্য লড়াই করতে হবে
মোবাইল ফোনের বদৌলতে প্রিয়জনের সাথে যত সহজে যোগাযোগ করা যায় তত সহজে প্রকাশ করা যায় না। আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে স্মার্টফোন খুবই উপকারী। জিমেইল, ইয়াহু ইত্যাদি সব মাধ্যমে বার্তা পাঠানো সহজ হয়ে গেছে। আমরা মোবাইল থেকে যখন খুশি অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ, ফোন কল করতে পারি। মোবাইল না থাকলে এই সব কিছুতেই অনেক দিন লাগতো। আগে মানুষ চিঠি লিখতো, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগতো। একটি চিঠি লেখার নিজস্ব বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তবে সঠিক সময়ে অবিলম্বে তথ্য পাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্ত কাজ মোবাইল ফোন দ্বারা করা যেতে পারে.
মোবাইল না থাকলে পেমেন্ট করতে সমস্যা হয়।
আজকাল অনলাইনে অনেক নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিদ্যুৎ বিল, ফোন বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে পারি। এর জন্য বড় লাইনে দাঁড়ানোর দরকার নেই। এটি একটি সহজ এবং নিরাপদ মাধ্যম। এতে সময়ও বাঁচে।
ফটো আর্কাইভ করা কঠিন
সবার হাতেই এখন স্মার্ট ফোন। ক্যামেরা সব ফোনেই থাকে এবং অনেক প্রযুক্তি এবং ভালো ছবির মানের সাথে আসে। মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে প্রতিটি সুখী মুহূর্ত বন্দী করে। আমরা যেখানেই বেড়াতে যাই, আমরা ছবিগুলি ক্লিক করি এবং সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করি। উৎসবে আমরা আমাদের মোবাইল থেকে লোকেদের ছবি পাঠাই। উত্সবগুলিতে, আমরা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মাধ্যমে চ্যাট এবং ভিডিও কল করি। মোবাইল না থাকলে এসবই অসম্ভব হতো। মোবাইলের কারণে আলাদা করে ক্যামেরা কিনতে হয় না। এটি ভিডিওগ্রাফি সহজ করে তোলে।
সামাজিক মাধ্যম
আজকাল সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। কারো জীবনে যা ঘটুক না কেন, দুঃখ, সমস্যা, সুখ আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারি। আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার চিন্তা প্রকাশ করতে পারেন। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক এবং তথ্যপূর্ণ ভিডিও দেখে। কেউ কেউ ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মোবাইল না থাকলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব করা কঠিন হতো।
আয়ের উৎস
লকডাউনের এই সময়ে, এটি অনেকের জন্য ভাল উপার্জনের একটি মাধ্যম। তরুণরা অ্যাপ্লিকেশন এবং ভিডিও তৈরি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। মোবাইল না থাকলে প্রতিদিন ভালো রোজগার হতো না। মানুষ ঘরে বসেই ইউটিউব থেকে খুব ভালো আয় করছে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সমস্যা হয়েছে
ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ করা যেতে পারে। একজন ব্যক্তি এটি দিয়ে অনেক কিছু করতে পারে। যখন মোবাইলের সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকে, তখন আমরা তা যে কোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারি। মোবাইল না থাকলে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোথাও সংযোগ করতে পারতাম না। বুকিং, পেমেন্ট, অফিসের কাজ, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ ইন্টারনেটের সাহায্যে যেকোনো জায়গায় করা যায়। স্মার্টফোনের কারণে এ সব কাজ সহজ ও সহজ হয়েছে বললে ভুল হবে না।
তথ্য পাওয়া সহজ নয়
মোবাইল হল একটি ছোট ডিভাইস যা আপনার পকেটে এবং ব্যাগে সহজেই ফিট হয়ে যায়। মোবাইল থেকে কোনো অজানা স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বা ঠিকানা জানতে চাইলে মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই তা পাওয়া যাবে। মোবাইলের এক ক্লিকেই যেকোনো জিনিস কেনাকাটা সহজ হয়ে গেছে। যেকোনো ধরনের টিকিট বুক করা, বা টাকা পাঠানো বা নেওয়া সবই মোবাইলের সাহায্যে করা যায়।
হিসাব করা সহজ নয়, সময় জেনে নিন
মোবাইলে যেকোনো জিনিসের তালিকা তৈরি করে হিসাব করতে পারেন। আপনি সহজেই নোটপ্যাডে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লিখতে পারেন। মোবাইলের কারণে ঘড়ির অভাব নেই। মোবাইলে অ্যালার্ম ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে, যা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করিয়ে দেয়।
কোথাও গান শুনতে পাচ্ছি না
মোবাইলে রেডিও, মিডিয়া প্লেয়ার ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যার সাহায্যে যে কোন জায়গায় গান শুনতে পারবেন। অফিস থেকে আসার সময় ক্লান্তি দূর করতে গান শুনতে পারেন। এর জন্য আলাদা রেডিও নেওয়ার দরকার নেই।
কোন দুর্ঘটনা নেই
মোবাইল না থাকলে এত দুর্ঘটনা ঘটত না। মোবাইলের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। মোবাইল না থাকলে মানুষ গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলত না এবং সড়ক দুর্ঘটনাও হতো না। মোবাইল না থাকলে মানুষ রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইলে ব্যস্ত থাকতো না এবং সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতো না।
পারিবারিক সম্পর্কের জন্য সময়
প্রায়শই একজন ব্যক্তি তার ব্যস্ত সময়ের পরে মোবাইল ফোনে বেশি সময় ব্যয় করেন। তিনি জানেন না যে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কম যোগাযোগ করছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটে বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। এতে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও দূরত্ব বাড়ে।
শিশুদের প্রভাবিত করে না
মোবাইল না থাকলে শিশুরা মোবাইলে কম আর বইয়ে বেশি সময় দিত। আজকাল তার মন পড়াশোনায় কম আর মোবাইলে বেশি। শিশুরা খেলাধুলা ইত্যাদিতে কম অংশ নেয় এবং বেশিরভাগ সময় মোবাইলে গেম খেলতে দেখা যায়। এটি তাদের ঘনত্বকে প্রভাবিত করে এবং তাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মোবাইল থেকে নির্গত ক্ষতিকর রেডিয়েশন শিশুদের জন্য ভালো নয়। এটি তাদের চোখকেও প্রভাবিত করে। মোবাইল না থাকলে শিশুদের অবনতি হতো না।
সম্পর্কের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই
আজকাল মানুষ নিজেই মোবাইলের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছে। সবাই একে অপরকে একসাথে তাদের আনন্দ এবং উৎসবের শুভেচ্ছা জানায় না। আজকাল লোকেরা কেবল হোয়াটসঅ্যাপে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের কাজ করে। মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও সখ্যতার অভাব রয়েছে। মানুষ মুখোমুখি বসে মোবাইলে কথা বলতে বেশি পছন্দ করত। পরিবারের সদস্যরা একই ঘরে বসে একে অপরের সাথে কথা বলেন না, তবে মোবাইলে চ্যাট করতে পছন্দ করেন। মোবাইল না থাকলে সম্পর্কের এত দূরত্ব বাড়ত না।
মাথাব্যথা ও বিরক্তি বাড়ে না
প্রতিটি মানুষই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত মোবাইল ব্যবহারে মাথাব্যথা হয় এবং ঘুম কম হয়। ব্যক্তি বারবার তার মোবাইলে নোটিফিকেশন চেক করেন এবং তার মনোযোগ মোবাইলের দিকে বেশি থাকে। অনেক সময় নেটওয়ার্ক না থাকলে ব্যক্তি রাগান্বিত ও খিটখিটে হয়ে পড়ে। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার সময় নষ্ট করে।
স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছিল না
মোবাইল না থাকলে আমরা সব মনে রাখতাম। মোবাইলের কারণে আমরা কোনো ফোন নম্বর মনে রাখতে পারি না। মোবাইল হারিয়ে গেলে জীবনে কষ্ট বাড়ে। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের সংখ্যা মনে নেই। যখন মোবাইল ছিল না তখন মানুষ নম্বর মনে রাখত।
শ্রবণ দুর্বল ছিল না
আজকাল যুবকরা মোবাইলে ক্রমাগত গান শোনে। আগেকার যুগে মানুষ রেডিও ও মিউজিক সিস্টেমে গান শুনত। এটা কোন সমস্যা ছিল না. হেডফোনে একটানা গান শোনার কারণে শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। মোবাইল না থাকলে মানুষ বধিরতার শিকার হতো না।
বিষণ্নতার শিকার
লোকেরা মোবাইল ফোনে এরকম কিছু পড়ে এবং এটি তাদের মনে প্রভাব ফেলে। অপরিচিত বন্ধুদের সাথে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব একজন মানুষকে না জেনে সমস্যায় ফেলতে পারে। মোবাইল না থাকলে মানুষ হতাশায় ভুগতে না।
উপসংহার
মোবাইল না থাকলে কিছু খারাপও হতো আবার কিছু ভালোও হতো। মোবাইল ব্যবহার একজন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ করা উচিত। মোবাইল আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা ঠিক, মোবাইলের রয়েছে অসংখ্য সুবিধা। তবে এর আরেকটি দিকও আছে। মোবাইল এলে লোকজনকে ফোন বুথে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। মোবাইল না থাকলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারত না এবং অনিদ্রার মতো সমস্যা তৈরি হতো না। মোবাইল আসক্তি একটি রোগ। মোবাইলের নিয়ন্ত্রিত ও সুষম ব্যবহারই পারে একজন মানুষকে সুখী রাখতে।
আরও পড়ুন:-
- মোবাইল ফোনে প্রবন্ধ (বাংলায় মোবাইল ফোনের প্রবন্ধ)
তাই এই ছিল মোবাইল না থাকলে বাংলায় প্রবন্ধ, মোবাইল না থাকলে, মোবাইল না থাকলে বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি (Hindi Essay On Mobile Was Not there) আশা করি আপনি পছন্দ করতেন । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।