যদি আমি একটি পাখি হতাম উপর রচনা বাংলায় | Essay On If I Were A Bird In Bengali - 2100 শব্দসমূহে
আজ আমরা যদি আমি পাখি হতাম (বাংলায় যদি আমি পাখি হতাম) এর উপর একটি প্রবন্ধ লিখব । আমি যদি পাখি হতাম তবে এই বিষয়ে লেখা এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের বাচ্চাদের এবং শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা হয়েছে। আমি যদি পাখি হতাম, তাহলে আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য (Essay On If I Were A Bird in Bengali) বিষয়ের উপর লেখা এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।
বাংলা ভূমিকায় যদি আমি পাখি হতাম প্রবন্ধ
আমি যদি পাখি হতাম, ডানা মেলে খোলা আকাশে উড়তাম। পাখি সব প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে কোমল এবং নিষ্পাপ। আকাশে পাখিদের কিচিরমিচির দেখে মনটা খুশি হয়ে যায়। মনে হয় তার মতোই ডানা মেলে আকাশে উড়ে যাই। পাখিদের জীবন এত সহজ নয়। কেউ তাদের ধরে খাঁচায় আটকে রাখবে না এমন ভয় সবসময় থাকে। পাখিটি ছোট হলে তার মা তাকে খাওয়ায়, কিন্তু তার মা তাকে ধীরে ধীরে উড়তে শেখায়। যখন সে এই সব করতে সক্ষম হয় তখন তাকে নিজের জীবন যাপন করতে হয়। সুন্দর সুন্দর সব পাখি দেখে সবার মনে হয় আমি যদি পাখি হতাম আর সীমানা থাকতো না। আমি পাখি হয়ে আকাশের মেঘ ছুঁতে চাই। আমি যদি পাখি হতাম, আকাশে উড়ে মেঘের মাঝে খেলতাম, শীতল বাতাস উপভোগ করতাম। প্রতিদিন পরিবহনের মাধ্যম ব্যবহার করতে হয়।
স্বাধীনতা উপভোগ করুন
আমি যদি পাখি হতাম, এখান থেকে ওখানে স্বাধীনভাবে উড়ে দোল খাতাম। উড়ে উড়ে এক ডাল থেকে আরেক গাছে পৌঁছে যেত। আমরা সবাই জানি একজন মানুষের হাঁটতে অনেক সময় লাগে। আমি যদি পাখি হতাম, কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়ে যেতাম। যেখানেই বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি। বাগানের গাছ-গাছালি আর ফুলের মাঝে খেলতাম।
আকাশের উপরে ওড়ার চেষ্টা করছে
আমি যদি পাখি হতাম, আমি আকাশের উপরে ওড়ার চেষ্টা করতাম, যেখানে প্লেন উড়ে। আমি পাইলটের দিকে ইশারা করে ডানা নাড়তাম। আমি যদি পাখি হতাম, বড় আম, জামুন গাছের উপর দিয়ে উড়ে যেতাম। আমি আমার গ্রামের কাছের হ্রদে ডুব দিয়ে শীতল স্নান উপভোগ করতে পারতাম।
পাখি হওয়ার স্বপ্ন
পাখিদের নিজেদের ভাষায় কথা বলতে দেখে আমার পাখি হওয়ার স্বপ্ন গড়ে ওঠে। আমি তাদের ভাষা বুঝতে পারতাম না কিন্তু তাদের স্নেহময় কণ্ঠ বুঝতে পারতাম।
পাখির কন্ঠ
সকালবেলা পাখির কিচিরমিচির সবার মনকে আনন্দ দেয়। আমি যদি পাখি হতাম, পাহাড়ের চূড়ায় বসে সুরেলা কন্ঠে গুঞ্জন করতাম। আমার কথা শুনে সবাই আমার দিকে টানতে লাগলো। আমি আমার মনোমুগ্ধকর সুর দিয়ে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করব।
পাখির সাদৃশ্য
পাখিদের সৌন্দর্যের সাক্ষী সবাই। এই কারণেই শাস্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় সৌন্দর্য বর্ণনা করার জন্য তাকে উপমা দেওয়া হয়েছে। কোকিল, ময়ূর, চাকোর প্রভৃতি অনেক পাখি কাব্য রচনায় ব্যবহৃত হয়। আমি যদি পাখি হতাম, আমাকে কোথাও উপমা দেওয়া হতো এবং তাতেই আমার আনন্দ হতো।
মানুষের সাথে বন্ধুত্ব
আমি যদি পাখি হতাম তবে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতাম। আমি ফসল রক্ষা করতাম এবং ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতাম।
খাঁচা নয়
আমি বিশ্বাস করি যে সবাই তাদের স্বাধীনতা পছন্দ করে। এ দেশও গণতান্ত্রিক। প্রত্যেকেরই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার এবং তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এটি পাখিদের জন্য একই হওয়া উচিত। পাখিরা খাঁচায় বন্দি থাকা পছন্দ করে না। আমি যদি পাখি হতাম, খাঁচায় থাকা কখনোই মেনে নিতাম না। সবাই তাদের স্বাধীনতা ভালোবাসে, ঠিক একইভাবে পাখিরাও তাদের স্বাধীনতা ভালোবাসে। মানুষের বোঝা উচিত যে পাখিদের একসাথে রাখতে, তাদের খাঁচায় রাখার দরকার নেই। মানুষ যদি কারাগারে বন্দী হয়, তাহলে তাদের কেমন লাগবে? তাই পাখিকে ব্যবসার মাধ্যম বানানো অন্যায়। তাদের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।
পাখির খেলনা নিয়ে খেলা
আমি যদি পাখি হতাম, বাচ্চারা খেলত এবং আমার আকারে তৈরি খেলনা নিয়ে খুব খুশি হত। বাচ্চাদের পাখির প্রতি দারুণ ভালোবাসা। আমি যদি পাখি হতাম, সে তার পোশাকে আমার ছবি রাখতে চাইবে। আমি যদি পাখি হতাম, মানুষ আমার মূর্তি দিয়ে তৈরি মূর্তি ঘরে রাখত এবং ভালবাসা দিয়ে সাজিয়ে দিত।
দেব-দেবীর যানবাহন
কিছু নির্বাচিত পাখি ঈশ্বরের বাহন। গরুড় হল ভগবান বিষ্ণুর বাহন। পেঁচা হল দেবী লক্ষ্মীর বাহন এবং ময়ূর হল ভগবান কার্তিকেয়ের বাহন। আমি যদি পাখি হতাম, আমারও একই ইচ্ছা থাকত যে দেব-দেবীর বাহন হয়ে সৌভাগ্য লাভ করতে পারি। আমি যদি পাখি হতাম, দেবতাদের বাহন হয়ে খুব খুশি হতাম।
মজা করা
আমি যদি পাখি হতাম, তাহলে খুব ভালো হতো। আমার সুন্দর এবং মন্ত্রমুগ্ধ ডানা থাকবে। আমি যদি ময়ূর হতাম, ডানা মেলে নাচতাম। আমি যদি কোকিল হতাম, আমার মধুর কন্ঠে সবার জীবনে মিষ্টি রস মিশিয়ে দিতাম। আমি যদি পাখি হতাম, আমি খুব উত্তেজিত হতাম এবং ভাবতাম পাহাড়ে বা গাছে বেড়াতে যাওয়া উচিত কিনা। মানুষ হয়ে মেঘ স্পর্শ করা অসম্ভব। আমি যদি পাখি হতাম তবে মেঘের মধ্যে দিয়ে উড়ে পাহাড়ের চূড়ায় লাফ দিতাম। বৃষ্টির পর যদি রংধনু বেরোত, তবে আমার সুখ কোথায় থাকত না, আমি শুধু কাছের রংধনুর সৌন্দর্য দেখতাম।
স্বাধীনতা এবং মুক্ত জীবন
আমি যদি পাখি হতাম, আমি স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতাম। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী খাবারের সন্ধান করুন। বাইরে যাওয়ার জন্য আমাদের বড়দের অনুমতি নিতে হবে। আমি যদি পাখি হতাম, আমি চাইলেই বাসা থেকে উড়ে যেতে পারতাম। আমি যে কোন জায়গায় ঘুরতে পারি এবং আমার ভ্রমণের জন্য টিকিটের প্রয়োজন নেই। আমি যদি পাখি হতাম তবে যে কোন দেশে যেতাম কোন সীমান্ত আমাকে আটকাতে পারবে না। যে কোন দেশে ভ্রমণ।
কঠোর পরিশ্রম করতে হবে
আমি যদি পাখি হতাম, ফলমূল, শস্য ইত্যাদি খাওয়ার জন্য আমাকে নিজের কাজ করতে হতো। বিশ্রাম নিতে চাইলে গাছে ঘুমাতাম।
দূষণ সংকট
আমি যদি পাখি হতাম তাহলে ভয় পেতাম যে কোথাও দূষণের কারণে আমাদের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। মানুষ যেভাবে গাছ-জঙ্গল কাটছে, আগে ভয় পেতাম আমরা পাখিরা এখন কোথায় থাকব আর আমাদের কী হবে। যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, তাতে আমাদের পাখিদের থাকার জায়গা নেই। গাছ কাটার কারণে পাখিরা ফল পাচ্ছে না। আমি যদি পাখি হতাম তবে দূষণের কারণে আমাকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হতো।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাড়ছে অসুবিধা
খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে শুধু মানুষই নয়, পশুপাখিকেও সমস্যায় পড়তে হয়। খরা হলে এক ফোঁটা পানির জন্য পাখিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হয়। আমি যদি পাখি হতাম তবে আমাকেও এই কষ্টগুলো সহ্য করতে হতো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মানুষের অবদান রাখতে হবে, যাতে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে।
উপসংহার
পৃথিবীতে পাখির অস্তিত্ব অন্যান্য জীবের অস্তিত্বের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি পাখি হতাম তবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম। আমি যদি পাখি হতাম তবে আমার সুরেলা গানে সবার কষ্ট দূর করার চেষ্টা করতাম। আমি বাতাসে উড়তে এবং দীর্ঘ উড়ান নিতে ভালোবাসি, তাই আমি একটি পাখি হতে খুশি হবে.
আরও পড়ুন:-
- Issay on I was a Doctor (If I am a Doctor Essay in Bengali)
তাই এই ছিল যদি আমি পাখি হতাম, আশা করি বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি (হিন্দি রচনা অন যদি আমি পাখি হতাম) আপনার ভালো লেগেছে । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।