দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রবন্ধ বাংলায় | Essay On Disaster Management In Bengali

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রবন্ধ বাংলায় | Essay On Disaster Management In Bengali

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রবন্ধ বাংলায় | Essay On Disaster Management In Bengali - 1800 শব্দসমূহে


আজ আমরা বাংলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর প্রবন্ধ লিখব । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের ছাত্রদের জন্য লেখা। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য বাংলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য অনেক বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।

Essay on Disaster Management (Disaster Management Essay in Bengali) Introduction

শিল্পায়নের কারণে মানুষ পরিবেশের ক্ষতি করেছে। মানুষ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে কিন্তু তার কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। ভূমিকম্প, সুনামি, ঝড়, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পৃথিবীতে সর্বনাশ করে। বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামির কারণে প্রাণ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পৃথিবীতে প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। এসব এড়াতে ভারত সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিশেষ বাহিনী ভারত সরকার তৈরি করেছে। এই বাহিনী দুর্যোগে আটকে পড়া মানুষকে সাহায্য করে। একে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলা হয়।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পুল ভেঙে যায় এবং বহু মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। প্রাণ হারায় বহু মানুষ। মানুষ উন্নতি করেছে, কিন্তু পৃথিবীতে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। বড় শহরগুলোতে দূষণের পরিমাণ বাড়ছে। বিভিন্ন সতর্কবার্তার পরও অনেকেই দূষণের সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না। দূষণ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিপর্যয়কর ক্ষতি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্ত জীবকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরীহ প্রাণীদের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রকৃতির গাছ, গাছপালা, ফুল ইত্যাদি জিনিস শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই বাড়ায় না, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। মানুষ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভালো পরিবর্তনও এনেছে। কিন্তু গণহত্যার ভয় তাকে তাড়া করে। হলোকাস্ট এক মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু শেষ করে দেয়। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ মানুষ নিজেই। বায়ুমণ্ডলে যেমন ক্ষতিকর গ্যাস যুক্ত হচ্ছে, তেমনি পৃথিবীর তাপমাত্রাও বাড়ছে। একে বলা যেতে পারে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য দায়ী গ্যাস হল কার্বন, হিলিয়াম, মিথেন ইত্যাদি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণেও জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিমবাহের বরফ গলে যাচ্ছে। এ কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রকৃতির সামনে মানুষ কিছুই করতে পারে না। মানুষ নিজেই বন কাটে যাতে সে বড় বাড়ি তৈরি করতে পারে। এমনকি নদী ও বাতাসও দূষিত হয়েছে। এর খেসারত মানুষকেই বহন করতে হবে। মানুষ তার নিজের স্বার্থে প্রকৃতির ক্ষতি করছে। মানুষ নিজেই প্রকৃতিকে কলুষিত করে। এসব কর্মকাণ্ড রোধ করার দায়িত্ব সরকারের।

ভূমিকম্প ঘটনা

ভূমিকম্প বহু দেশে, রাজ্যে, গ্রামে বিপর্যস্ত করেছে। বাড়িঘর, অফিস, রাস্তা সবই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণ হারায় বহু মানুষ। ভূমিকম্পের কারণে অনেক শহর ধুলোয় ঢেকে যায়। বিশাল বেদনাদায়ক ঘটনার জন্ম হয়, যা বছরের পর বছর ভোলা যায় না। তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও বনে হঠাৎ আগুন লেগে যায়, যার কারণে শুধু গাছ-গাছালিই নষ্ট হয় না, অনেক প্রাণীও মারা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সরকার সচেষ্ট।

কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা

কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো যন্ত্র নেই, যা আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে বলতে পারে। কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয় হঠাৎ ঘটে, যেমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্প ইত্যাদি। এ ধরনের দুর্যোগকে দুর্ঘটনাজনিত দুর্যোগ বলা হয়। কিছু অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা যা শনাক্ত করা যায়, যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। দুর্ভিক্ষ এবং কৃষি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার মতো ঘটনা আবহাওয়া অধিদপ্তর দ্বারা সনাক্ত করা যায়।

দুর্যোগ থেকে ভারী ক্ষতি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশ ও রাষ্ট্রগুলোকে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহন করতে হয়। যখন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেই অবস্থা থেকে মানুষের বের হতে সময় লাগে। দুর্যোগের কারণে রাস্তাঘাটের ক্ষতি, পুল ভাঙ্গা, ঘরবাড়ি ধসে মানুষের জীবনও শেষ হয়ে যাওয়ার মতো বড় ধরনের ক্ষতি হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

দুর্যোগ প্রতিরোধে অনেক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। একে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলা হয়। আইনটি সরকার কর্তৃক 2005 সালে জারি করা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচানো। সরকার দুর্যোগ প্রতিরোধে কয়েকটি বাহিনী গঠন করেছে। এনসিসি, এনডিআরএফ-এর মতো বাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হতে হবে। দুর্যোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানা জরুরি। সরকারকে দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নিয়ম প্রণয়ন করতে হবে।

উপসংহার

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতি ও পরিবেশকে আরামদায়ক রাখা জরুরি। প্রকৃতিকে দূষিত করা উচিত নয়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে এমন কাজ করা উচিত নয়। সরকার তার দিক থেকে চেষ্টা করছে এবং আমাদেরও উচিত সরকারকে এ ব্যাপারে অবদান রাখা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি আগামী দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

আরও পড়ুন:-

  • খরার উপর প্রবন্ধ (বাংলায় খরার প্রবন্ধ) পরিবেশ দূষণের উপর প্রবন্ধ (বাংলায় পরিবেশ দূষণের প্রবন্ধ)

তাই এটি ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক রচনা, আশা করি আপনার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি ভালো লেগেছে । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রবন্ধ বাংলায় | Essay On Disaster Management In Bengali

Tags