বই উপর রচনা বাংলায় | Essay On Books In Bengali - 2000 শব্দসমূহে
আজ আমরা বইটির উপর একটি প্রবন্ধ লিখব (Essay On Books in Bengali)। বইটিতে লেখা এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রকল্পের জন্য বইটিতে লিখিত বাংলায় এই Essay On Books ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।
বাংলা ভূমিকায় বইয়ের প্রবন্ধ
বই শিশু এবং সবার জন্য জ্ঞানের ভান্ডার। বইটি সকল মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। আজকাল বাজারে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। বই মানব জীবনের ভিত্তি। ইংরেজি, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি অনেক বিষয়ে বই পাওয়া যায়। বিশ্বের অগণিত ভাষায় বই পাওয়া যায়। ধর্মীয়, বাজারে ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক ইত্যাদি বই পাওয়া যায়। বই পড়ে আমরা জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমাদের আগ্রহের বিষয় অনুযায়ী বই কিনতে পারি। বই জীবনের অনেক সমস্যা সমাধানের সুযোগ করে দেয়। আজ এমন কোন বিষয় নেই যার উপর বই পাওয়া যায় না। বই মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে লেখা আমাদের জীবনে খুব উপকারী। বই মানুষকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য করে। বই পড়া একজন মানুষকে আনন্দ দেয়। গান ও নৃত্য মানুষকে বিনোদন দেয়, কিন্তু বইও বিনোদনের সেরা মাধ্যম। বই মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় নিয়ে যায়। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধুর মত। কিন্তু বইও বিনোদনের একটি বড় উৎস। বই মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় নিয়ে যায়। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধুর মত। কিন্তু বইও বিনোদনের একটি বড় উৎস। বই মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয় নিয়ে যায়। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধুর মত।
বই জ্ঞানের উৎস
বই থেকে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্র সম্পর্কে জ্ঞান পাই। জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের অন্য কারো উপর নির্ভর করতে হবে না। বইয়ের জ্ঞান মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। বই জ্ঞানের একটি অমূল্য উৎস এবং জ্ঞান অর্জনের একটি সহজ উপায়। আমরা বই থেকে যে কোনো বিশেষ ব্যক্তি সম্পর্কে জ্ঞান পাই। আমরা বই থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ এবং প্রতিটি পুরানো ঐতিহাসিক কাহিনীর জ্ঞান পাই। গীতা ও রামায়ণের মতো ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে জীবন সম্পর্কিত তথ্য বোঝার সুযোগ পাওয়া যায়। এর দ্বারা আমরা সঠিক ও অন্যায়, ধর্ম ও অন্যায় সম্পর্কে জানতে পারি। আমাদের যদি কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাহলে বইয়ে দেওয়া ঘরোয়া প্রতিকার আমাদের উপকার করে। বই সবসময় জ্ঞানের প্রদীপের মতো মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। বই হচ্ছে উন্নতি ও প্রসারের মাধ্যম।
বই ধরনের
অনেক ধরনের বই আছে, যেমন বিষয় সম্পর্কিত বই, কবিতা, গল্প, লেখা, সাহিত্যের বই, শিশুদের কমিকস, কমিক জোকস, বিজ্ঞান ও ইতিহাস সম্পর্কিত বই ইত্যাদি। শিশুরা কমিক পড়তে পছন্দ করে এবং একজন ব্যক্তি উত্তেজনাপূর্ণ গল্প পড়তে পছন্দ করে। অনেক মানুষ বই ছাড়া বাঁচতে পারে না। এই ধরনের লোকেরা তাদের বাড়িতে একটি ছোট পাঠাগার তৈরি করে।
বইয়ের জ্ঞান কখনো শেষ হয় না
অনেক লেখক-সাহিত্যিক তাদের মতাদর্শ ও জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তাদের লেখায়। তুলসীদাস, প্রেমচাঁদ, মহাদেবী ভার্মা, রামধারী সিং দিনকর প্রমুখ এইরকম অনেক মহান লেখক মহান জিনিস লিখে আমাদের জ্ঞান দিয়েছেন। অধিকাংশ লেখক আমাদের সাথে নেই, তবে তাদের লেখা বই আমাদের জীবনে বর্তমান। দেশের সংবিধানও বইয়ে জমা আছে।
আগের বই আর আজকের বইয়ের মধ্যে পার্থক্য
আগেকার দিনে ছাপাখানায় বই ছাপা হতো না। এই ধরনের বই পুরাণ যুগে হাতে লেখা হয়েছে। সে সময় ভোজপত্রে লিখে জ্ঞান বিতরণ করা হতো। তখন হাতে লেখা বই পাওয়া যেত। এখন বই শুধু কয়েকটি ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অগণিত ভাষায় বই পাওয়া যায়। মানুষ যে কোনো ভাষায় বই কিনতে ও পড়তে পারে। বইয়ের কারণে আমরা আগের প্রজন্মের তথ্য পেয়েছি।
ব্যক্তিত্বের উপর বইয়ের প্রভাব
বই পড়া মানুষের চিন্তাধারাকে বদলে দেয়। তারা অনেক কিছু শেখে এবং বোঝে। বই মানুষের ব্যক্তিত্বে ভালো প্রভাব ফেলে। বই থেকে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বই পড়ার সময়, একজন ব্যক্তি তার জীবনের মোড়ের সাথে মিলে যায় এমন কিছু অংশ পায়, যার কারণে সে তার সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একটি সমাধান পায়।
একাকীত্বের সঙ্গী
মানুষ যখন একা থাকে, বই সবসময় তার সাথে থাকে। একাকীত্ব দূর করার জন্য বইয়ের চেয়ে ভালো উপায় আর হতে পারে না।
শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের গুরুত্ব
শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। শিক্ষা অর্জনের জন্য বই দরকার। বই পড়ে শিক্ষার্থীরা শুধু ডিগ্রি অর্জন করে না, জ্ঞানও অর্জন করে। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশের জন্য বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়। লাইব্রেরিতে বিভিন্ন বিষয়ের বই পাওয়া যায়। ইতিহাস, ভূগোল, নাগরিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ ধরনের বই পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিসিন সম্পর্কিত বই পড়ে। বই ছাড়া সে পরীক্ষায় সফলভাবে পাস করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের জীবনে বই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছাত্রজীবনের ভিত্তি হলো বই।
বইয়ের গুরুত্ব এবং লেখকের ভূমিকা
যে ব্যক্তি বইটি লেখেন তাকে লেখক বলা হয়। লেখক না থাকলে বই থাকবে না। লেখকরা তাদের জ্ঞান বইয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। লেখকরা বইয়ের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি এবং কল্পনা প্রকাশ করেন। মানুষ সবসময় লেখকদের সেরা কাজ মনে রাখে। অনেক বিখ্যাত ও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক আর আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাদের লেখা বইগুলো আমাদের মাঝে বেঁচে আছে এবং থাকবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় বই মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়েছিল।
অনলাইন বই যুগ
ইন্টারনেটের এই জগতে মানুষ অনলাইনে বই পড়ে। মানুষ যেকোনো ধরনের তথ্য ও জ্ঞানের জন্য গুগল সার্চ ব্যবহার করে। আজ এসব বই পাওয়া যাচ্ছে, যার মাধ্যমে মানুষ অনলাইনে বই পড়তে পারে। কিছু মানুষ আজ ইন্টারনেটের কারণে বই কেনেন না। অনলাইনে প্রিন্ট আউট নিন। তবুও আজও বইয়ের গুরুত্ব কমেনি। কোনো ব্যক্তি যদি পড়তে খুব পছন্দ করেন, কিন্তু বই কেনার মতো টাকা না থাকে, তাহলে তিনি নিকটস্থ লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তে পারেন।
উপসংহার
পুরাতন থেকে নতুন যুগ পর্যন্ত প্রতিটি দিক এবং জ্ঞান বইয়ে শোষিত হয়েছে। বই ছাড়া মানুষ শুধু নিরক্ষরই থাকে না, তার জীবনও অর্থহীন হয়ে পড়ে। বই আমাদের জীবনে সঠিক এবং ভুল এবং ভাল এবং খারাপের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়। বই পড়া আমাদের জীবনে কিছু করার এবং হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।
আরও পড়ুন:-
- লাইব্রেরির উপর প্রবন্ধ (বাংলায় গ্রন্থাগারের প্রবন্ধ)
তাই এই বইটির উপর প্রবন্ধ ছিল, আমি আশা করি আপনি বইটির উপর বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন (Hindi Essay On Books)। আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।