এক ঘায়েল সৈনিক কি আত্মকথা - একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনী বাংলায় | Ek Ghayal Sainik Ki Atmakatha - Autobiography Of An Injured Soldier In Bengali - 2500 শব্দসমূহে
আজ আমরা একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনী নিয়ে বাংলায় একটি আহত সৈনিকের আত্মজীবনী নিয়ে রচনা লিখব । একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনীর উপর এই রচনাটি 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11, 12 এবং কলেজ ছাত্রদের জন্য লেখা। আপনি আপনার স্কুল বা কলেজ প্রজেক্টের জন্য একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনীতে বাংলায় একটি আহত সৈনিকের আত্মজীবনী সম্পর্কিত এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিষয়ে বাংলায় প্রবন্ধ পাবেন, যা আপনি পড়তে পারেন।
একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনী বাংলা ভূমিকায় প্রবন্ধ
একজন সৈনিক সবসময় দেশের জন্য নির্ভয়ে যুদ্ধ করে। জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার আগে সে একবারও ভাবে না। সীমান্তে অবস্থান করে তিনি সর্বদা মাতৃভূমিকে রক্ষা করেন। একজন সৈনিকের দায়িত্ব দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করা। একজন সৈনিক তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মাতৃভূমির জন্য লড়াই করে। শহীদের স্ত্রী ও তার পরিবার তাকে নিয়ে গর্বিত। দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করাই তার চরম কর্তব্য। সৈন্যরা কঠিন সামরিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়। তিনি শপথ নেন যে, দেশ এবং তার জন্য দেশের চেয়ে বেশি কিছু নেই। আমার নাম গুরিন্দর সিং, আজ আমি আমার আত্মজীবনী বলতে যাচ্ছি। আমি পাঞ্জাবের একটি ছোট গ্রাম থেকে এসেছি। আমার বাবা এবং আমার চাচাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সামরিক প্রশিক্ষণে সব ধরনের ড্রিল শেখানো হয়। বন্দুক, মেশিনগান, কামান, সব প্রশিক্ষণ আমি শিখেছি। কীভাবে নির্ভয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করতে হয় এবং তাদের ছক্কা মেরে ফেলতে হয়, প্রশিক্ষণের সময় সব কিছু শেখানো হয়।
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল সৈনিক হওয়ার
যুদ্ধ করতে গিয়ে আজ হঠাৎ আহত হয়েছি। কিন্তু আমি আমার দেশের কথা চিন্তা করি না। আমি নিজেকে নিয়ে মোটেও চিন্তা করি না। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি। এটা নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। ছোটবেলায় বন্ধুদের কাছে শুনতো সে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, বড় অফিসার ইত্যাদি হতে চায়। কিন্তু অর্থ উপার্জন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার বাবাও সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার ছিলেন। দেশের জন্য নিজের জীবনও উৎসর্গ করেছেন। আমি আমার বাবার মৃত্যুতে খুব দুঃখিত, কিন্তু আমি আমার বাবার জন্য গর্বিত। আমি সবসময় বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সৈনিক হতে চেয়েছিলাম। আমি শুধু চাই আমার দেশ নিরাপদ হোক।
বাবা চেয়েছিলেন আমি একজন সৈনিক হই
বাবাও চেয়েছিলেন আমিও তার মতো দেশের সেবা করি। তার স্বপ্ন পূরণ করে আজ আমি আমার দেশের কাজে এসেছি। এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি দেশ রক্ষার সৈনিক হয়েছি। আমার বাবাও সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তিনি কাশ্মীরে পোস্টড ছিলেন। হঠাৎ সন্ত্রাসীদের আক্রমণের সাথে লড়াই করতে গিয়ে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ছোটবেলা থেকেই আমার সৈনিক হওয়ার নেশা ছিল। আমি সবসময় আমার বন্ধুদের সাথে সৈনিক হওয়ার কথা বলতাম। আমি ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেমের অনুভূতিতে অনুপ্রাণিত।
জাতীয় নিরাপত্তা, কর্তব্য
একজন সৈনিকের জীবনের সবচেয়ে মৌলিক বিষয় হলো দেশের নিরাপত্তা। দেশে সেনাবাহিনীর অনেক বিভাগ রয়েছে। সবাই নিজ নিজ জায়গায় দায়িত্ব পালন করছে। দেশ রক্ষায় কাজ করছি বলে শান্তিতে ঘুমাই না। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি ভারত মাতাকে রক্ষা করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছি।
পরিবার একটি সৈনিক হতে সমর্থন
যখন আমাকে সৈনিক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে যেতে হয়েছিল, তখন আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রচুর সমর্থন করেছিলেন। তারা আমার সিদ্ধান্তে খুব খুশি এবং গর্বিত। প্রশিক্ষণে গেলে আমার পরিবারের সদস্যদের কথা মনে পড়ত। কিন্তু প্রশিক্ষণে তাকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের দোয়া না থাকলে আমি সৈনিক হতে পারতাম না। আমার পরিবার চেয়েছিল আমি দেশ রক্ষায় আমার জীবন উৎসর্গ করি। আমার বাবা ছোটবেলা থেকেই আমাকে সাহসী এবং দায়িত্বশীল হতে শিখিয়েছিলেন। আমি যখন সৈনিক হয়ে বাড়ি ফিরলাম, তখন আমার মায়ের চোখে ছিল আনন্দের অশ্রু।
পরিবারের সাথে আনন্দের মুহূর্ত
সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনের সময় যখন ছুটি পেতাম। তারপর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতাম। আমাকে দেখে আমার মা, স্ত্রী ও সন্তানরা খুব খুশি হলেন। বাচ্চারা আমাকে অনেক ভালবাসত এবং আমি তাদের সাথে খেলতাম। রাতে ঘুমানোর আগে আমি আমার সন্তানদের সীমান্ত যুদ্ধের গল্প বলতাম। দেশ প্রেমের কথা বলতেন। ছুটি শেষ হলেই মন খারাপ হয়ে যেত। তবে দেশের প্রতি আমার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। আমার পরিবারের চোখ ভিজে আসত। আমার পরিবারের সদস্যরা জানতেন, দেশের সেবার চেয়ে আমার কাছে আর কেউ গুরুত্বপূর্ণ নয়।
শত্রুদের দেড়শ করে, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন
আজ আমি সৈনিক হওয়ার আগে যে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম তা পূরণ করেছি। আমিও আমার বাবার মতো কাশ্মীর সীমান্তে পোস্টড। প্রতিবারের মত এবারও আমি আমার শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করেছি। সন্ত্রাসীরা গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এই এনকাউন্টারে আমার সামনে আমার অনেক সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। তিনি আর নেই জানতে পারলে তার পরিবারের সদস্যদের কষ্ট বুঝতে পারি। এই কারণেই আমাদের তৈরি করা হয়েছে যে একদিন আমরা মাতৃভূমির জন্য এবং এটি রক্ষা করার জন্য আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি। এই যুদ্ধে আমি আহত, কিন্তু ভেঙে পড়িনি। বেঁচে থাকলে শিগগিরই আবারও দেশরক্ষায় হাজির হবো মাতৃভূমিকে উপহার হিসেবে।
দেশের জন্য কাজ করেছে
আমি আমার দেশকে খুব ভালোবাসি। আমি সমগ্র দেশবাসীকে আমার পরিবার মনে করি। আমি আমার পরিবারকে রক্ষা করতে সবসময় পাশে থাকব। হঠাৎ করেই কয়েকদিন ধরে মারামারি চলছিল। আমি এবং আমার মিলিটারি কমরেডরা মিলে সন্ত্রাসীদের দেড় হাজারে নামিয়েছি। কিন্তু সন্ত্রাসীদের দুটি গুলি আমাকে আহত করেছে। আমি থাকি বা না থাকি, আমার দেশ যেন প্রতিবেশী দেশের অশুভ উদ্দেশ্য থেকে নিরাপদ থাকে। দেশের জন্য কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। দেশকে অনেক কষ্ট থেকে বাঁচিয়েছি। আমি আমার মাতৃভূমির জন্য আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করতে পারি।
নির্ভয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করুন
যখন আমার পরিবারকে বলা হবে যে আমি আহত, তারা খুব দুঃখ পাবে। তারা আমার জন্য বিরক্ত হবে. আমার ছেলেও এই কথা শুনে আতঙ্কিত হবে কিন্তু সে জানে মাতৃভূমির সামনে পরিবার কিছুই নয় আমার এবং কোনো দেশপ্রেমিক সৈনিকের কাছে। আহত হয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে পেরে আমি খুশি। আমি ভয় দেখাইনি বা শত্রুদের সামনে মাথা নত করিনি, বরং তাদের পরাজিত করেছি। আমি শত্রুদের মোকাবেলা করেছি এবং তাদের অর্ধেক করতে পেরেছি।
পরিবার আমাকে নিয়ে গর্বিত হবে
আজ আমি বেঁচে না থাকলে আমার স্ত্রী ও পরিবার খুব দুঃখিত হবে। আমি এটাও জানি যে তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করবে। আমার সাথে যাই ঘটুক না কেন, তবুও আমি চাই আমার পরিবার আমাকে সুখে রেখে যাক। আমি তাদের সবসময় মনে রাখব। তার ও আমার দেশের স্মৃতি হৃদয়ে বয়ে চলে যাব পৃথিবী থেকে।
হাসপাতালে সংগ্রাম
আমি যেমন নির্ভয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করেছি, তেমনি দুবার গুলিবিদ্ধ হয়েও হাল ছাড়িনি। আমি খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম। মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার আমার অস্ত্রোপচার করেছেন। কিন্তু সেখানেও জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কয়েক মাস চিকিৎসার পর আজ আমি সুস্থ। কিছুদিন পর আমি আবার দায়িত্বে যোগ দেব এবং মাতৃভূমিকে রক্ষা করব আগের চেয়ে অনেক বেশি। এই মিশনের সাফল্যের জন্য দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমার সামরিক বন্ধুরা সবসময় আমাকে সম্মান করত এবং সমর্থন করত। এই মিশনে যারা মারা গেছেন তাদের স্মৃতি চিরকাল আমার হৃদয়ে থাকবে।
উপসংহার
সৈনিক হওয়া সহজ নয়, তবে কঠিনও নয়। সেই আবেগ, আবেগ ও দেশপ্রেম থাকলে আপনি একজন দেশপ্রেমিক সৈনিক হতে পারেন। আমার সাহসিকতার জন্য সরকার আমাকে সম্মানিত করেছে। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমি দেশ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি। দেশপ্রেম দেখিয়ে দেশের অনেক যুবক সেনা কর্মকর্তা হয়েছেন বলে আশা করা যায়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিন এবং মাতৃভূমি রক্ষা করুন। জয় হিন্দ জয় ভারত।
আরও পড়ুন:-
- বাংলায় দেশপ্রেম ও দেশপ্রেমের প্রবন্ধ
সুতরাং এটি ছিল একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনী সম্পর্কিত রচনা, আশা করি আপনি একজন আহত সৈনিকের আত্মজীবনীতে বাংলায় লেখা প্রবন্ধটি পছন্দ করেছেন । আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে এই নিবন্ধটি সবার সাথে শেয়ার করুন।